Skip to content

কাজা নামাজ আদায়ের পদ্ধতি I Kaja namaz

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

কাজা নামাজ আদায়ের পদ্ধতি ?

কাযা সলাত ইসলামের বিধান –

কাযা সালাত : ক্বাযা আভিধানিক অর্থ হচ্ছে দেরী করা বা বিলম্ব করা।শরীয়তের ভাষায়, নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট শর্তসাপেক্ষে ঐ দিনের পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের যদি কোন ওয়াক্তের নামায  আদায় না করে সেই ওয়াক্তের নামায  নিদিষ্ট সময় পার হওয়ার পরে সম্পাদন করাকে কাযা নামায  বলে।

১। ক্বাযা সালাত আদায়ে দেরি করা  এবং নামযের নিষিদ্ধ সময় শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা-

ক্বাযা সালাত আদায়ে দেরি করা  এবং নামযের নিষিদ্ধ সময় শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা এইটা শরীয়ত সম্মত নয় বরং যখনি সালাত বা নামাযের কথা মনে হবে  বা ঘুমিয়ে থাকলে  ঘুম থেকে সজাগ হবে তখনি যে সকল সালাত বা নামায ক্বাযা হয়েছে সে গুলো  ধারাবাহিকভাবে আদায় করে নেওয়া।

আমরা যদি সহীহ হাদিসের বর্ণনা দেখি – নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)   বলেছেন –

“যদি কেউ কোন সালাতের কথা ভুলে যায়, তাহলে যখনই স্মরণ হবে, তখন তাকে তা আদায় করতে হবে। এ ব্যতীত সে সালাতের অন্য কোন কাফ্‌ফারা নেই। (কেননা, আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেছেন)(‏وَأَقِمِ الصَّلاَةَ لِذِكْرِي‏) “আমাকে স্মরণের উদ্দেশ্যে সালাত কায়েম কর”।

(বুখারী সহীহ হাদিস নং – ৫৭০ ই ফা বা / ৫৯৭ আন্তঃ,  মুসলিম সহীহ হাদিস -১৪৫২, ১৪৫৩, ১৪৫৪, ১৪৫৫ হা একাডেমি  / ৬৮৪আন্তঃ, আবূ দাঊদ সহীহ হাদিস- ৪৪২, নাসায়ী সহীহ হাদিস -৬১৩, তিরমিযী সহীহ হাদিস -১৭৮, ইবনু মাজাহ্ সহীহ হাদিস – ৬৯৬)

উপরোক্ত হাদিসের আলোকে আমরা এখানে বুঝতে পারি ক্বাযা নামাযের কোন নিষিদ্ধ সময় নেই,  আরো দেখুন – 

(মিশকাত সহীহ হাদিস নং-৬০২ ই ফা বা , বুখারী সহীহ হাদিস- ৫২৯ ই ফা বা,  নাসায়ী সহীহ হাদিস – ৫১৬  ই ফা বা, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১৭৭৪, সহীহ ইবনু হিব্বান ১৫৮৬)

নামাজের অধ্যায়ের সূচিপত্র / Table of Contents of Prayers …………..

ওয়াক্ত চলে যাওয়ার পর লোকদের নিয়ে জামাআতে সালাত আদায় করা –

জাবির ইবনু আবদুল্লাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিত-  যে খন্দকের দিন সূর্য অস্ত যাওয়ার পর উমর ইবনু খাত্তাব (রাঃ) এসে কুরাইশ গোত্রীয় কাফিরদের ভর্ৎসনা করতে লাগলেন এবং বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি এখনও আসরের সলাত (নামাজ) আদায় করতে পারিনি, এমন কি সূর্য অস্ত যায় যায়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আল্লাহর শপথ! আমিও তা আদায় করিনি। তারপর আমরা উঠে বুতহানের দিকে গেলাম। সেখানে তিনি সালাতের জন্য উযূ (ওজু/অজু/অযু) করলেন এবং আমরাও উযূ (ওজু/অজু/অযু) করলাম; এরপর সূর্য ডুবে গেলে আসরের সালাত আদায় করেন, তারপর মাগরিবের সালাত আদায় করেন।

(বুখারী সহীহ হাদিস নং – ৫৬৯ ই ফা বা /৫৯৬ আন্তঃ )

 একাধিক সালাতের কাযা ধারাবাহিকভাবে আদায় করা-

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, খন্দকের যুদ্ধকালে এক সময় উমর (রাঃ) কুরাইশ কাফিরদের ভৎসনা করতে লাগলেন এবং বললেন, সূর্যাস্তের পূর্বে আমি আসরের সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতে পরিনি, (জাবির (রাঃ) বলেন) তারপর আমার বুতহান উপত্যকায় উপস্থিত হলাম। সেখানে তিনি সূর্যাস্তের পর সে সালাত আদায় করলেন, তারপরে মাগরিবের সালাত আদায় করলেন।

(বুখারী সহীহ হাদিস নং – ৫৭১ ই ফা বা /৫৯৮ আন্তঃ)

নামাজের অধ্যায়ের সূচিপত্র / Table of Contents of Prayers …………..

Leave a Reply