Skip to content

First 10 days of Zilhajj month, Eid-ul-Azha, eid, Jillhajj

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

ঈদুল আজহার রীতিনীতিঃ

ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় দুটো ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে এটি দ্বিতীয় উৎসব। আমাদের দেশে এই উৎসবটি কুরবানির ঈদ নামেও পরিচিত। এই উৎসবকে ঈদুজ্জোহাও বলা হয়। ঈদুল আজহা মুলত আরবি বাক্যাংশ। এর অর্থ হলো ‘ত্যাগের উৎসব’। এই উৎসবের মুল প্রতিপাদ্য বিষয় হল ত্যাগ করা।

 

মহান আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ

فَصَلِّ لِرَبِّکَ وَ انۡحَرۡ

অর্থঃ কাজেই তুমি তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে নামাজ আদায় কর এবং কুরবানী কর ।

( সুরা আল কাউছার আয়াতঃ ২ )

মহান আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ

وَ لِکُلِّ اُمَّۃٍ جَعَلۡنَا مَنۡسَکًا لِّیَذۡکُرُوا اسۡمَ اللّٰهِ عَلٰی مَا رَزَقَهُمۡ مِّنۡۢ بَهِیۡمَۃِ الۡاَنۡعَامِ ؕ فَاِلٰـهُکُمۡ اِلٰهٌ وَّاحِدٌ فَلَهٗۤ اَسۡلِمُوۡا ؕ وَ بَشِّرِ الۡمُخۡبِتِیۡنَ

অর্থঃ আমি প্রতিটি সম্প্রদায়ের জন্য (কুরবানীর) নিয়ম করে দিয়েছি। তাদেরকে চতুষ্পদ জন্তু হতে যে রিযক্ দেয়া হয়েছে সেগুলোর উপর তারা যেন আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে, (এই বিভিন্ন নিয়ম-পদ্ধতির ম‚ল লক্ষ্য কিন্তু এক- আল্লাহর নির্দেশ পালন), কারণ তোমাদের উপাস্য একমাত্র উপাস্য, কাজেই তাঁর কাছেই আত্মসমর্পণ কর আর সুসংবাদ দাও সেই বিনীতদেরকে ।

( সুরা আল হজ্জ আয়াতঃ ৩৪ )

হাদিসের বর্ণনায়ঃ

মুসা ইবনে ইসমাঈল (রহঃ) … আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদ্বীনায় পৌঁছে দেখতে পান যে, সেখানকার অধিবাসীরা দুইটি দিন (নায়মুক ও মেহেরজান) খেলাধুলা ও আনন্দ-উৎসব করে থাকে। তিনি রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসা করেন, এই দুইটি দিন কিসের? তারা বলেন, জাহেলী যুগে আমরা এই দুই দিন খেলাধুলা ও উৎসব করতাম। রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহ তায়ালা তোমাদেরকে এই দুই দিনের পরিবর্তে অন্য দুইটি উত্তম দিন দান করেছেন এবং তা হল, কোরবানীর ঈদ এবং রোযার ঈদ।

( আন-নাসাঈ সহীহ হাদিসঃ ১৫৫৯, ই ফা বা, মিশকাত সহিহ হাদিসঃ ১৪৩৯, তিরমিজী )

জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিন চুল ও নখ বা চামড়ার কোন অংশ কর্তন না করাঃ

ইবনু আবু উমার আল-মাক্কী (রহঃ) … উম্মু সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রসুলুল­াহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন জিলহজ মাসের প্রথম দশদিন উপস্থিত হয়, আর তোমাদের কেউ কুরবানী করার ইচ্ছা করে, তবে সে যেন তার চুল ও নখের কিছু কর্তন না করে।

সুফিয়ান (রহঃ) কে বলা হলো, কেউ কেউ তো হাদীসটিকে মারফু’ সরাসরি রসুলুল­াহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করে না। তিনি বললেন, আমি কিন্তু মারফু’-ই  রসুলুল­াহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকেই বর্ণনা করি।

( মুসলিম সহীহ হাদিসঃ ৪৯৫৫, ৪৯৫৬, ৪৯৫৭, ৪৯৫৮, ৪৯৫৯,৪৯৬০ ই ফা বা /৫০১১, ৫০১২,৫০১৩, ৫০১৪, ৫০১৫, ৫০১৬ হাদিস একাডেমী / ১৯৭৭ আন্তঃ)

 

Leave a Reply