তালীম ?
তালিম অর্থঃ
তালিম একটি আরবি শব্দ , তালিম অর্থ হচ্ছে – শিক্ষা, উপদেশ, শিষ্টাচার।
তালীম ৩ প্রকারঃ
১) আল- কোরআনের তালিম ।
২) কিতাবী তালিম ।
৩) ছয় নম্বরের মোজাকার।
তালিমের বিষয়ঃ
তালিমের ৩ টি বিষয়ঃ
১) উদ্দেশ্য ২) তালিমের লাভ ৩) আদব।
তালিমের উদ্দেশ্যঃ
ফাযায়েলে আমলের বর্ণনা দ্বারা দিলে আমলের এক্বীন পয়দা করা, অর্থ্যাৎ আল্লাহ তা‘য়ালা যে আমলের সহিত যে ওয়াদা করেছেন তা অবশ্যই দিবেন একথার এক্বীন বা বিশ্বাস করা।
তালিমের লাভঃ
১। মুর্খতা, অজ্ঞতা , জাহেলিয়াত দুর হয়।
২। আমলের শক পয়দা হয় ।
৩। আমলের সাথে এলেমের সর্ম্পক নাজিল হয়।
৪। খারাপ আমলের প্রতি ঘৃনা হয়।
৫। ছকিনা নাযিল হয়।
৬। ওহীর বরকত হয়।
৭। ফেরেশতারা তালিমের মজমা বেষ্টন করিয়া থাকে।
৮। আল্লাহ পাক ফেরেশতাদের সাথে এই মজলিশ নিয়ে আলোচনা করেন।
৯। দিলকে খালী করে বসা।
তালিমে বসার আদবঃ
ওযু করে নেয়া, সম্ভব হলে খুশবু লাগানো, গোলাকার হয়ে গায়ে গায়ে লেগে বসা, আত্তাহিয়াতুর সুরতে বসা, আমালের নিয়তে বসা, মোজাহাদার সঙ্গে বসা, দিলকে খালী করে বসা, জরুরতকে দাবিয়ে বসা।
তালীম শুনার আদবঃ
দিলকে খালী করে শুনা, মুতাকাল্লিমের দিকে তাকিয়ে শুনা, দিলের কানে শুনা, আমলের নিয়তে শুনা, অন্যের নিকট পৌঁছানোর নিয়তে শুনা ।
তালিম শুনার হকঃ
১। আল্লাহ পাকের নাম আসলে ” আল্লাজাল্লাশানুহু ” বলা।
২। আমাদের নবীর নাম শুনলে “সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম “।
৩। পুরুষ সাহাবাগনের নাম শুনলে রাদিআল্লাহু আনহু বলা।
৪। মহিলা সাহাবীগনের নাম আসলে রাদিআল্লাহু আনহা বলা।
৫। তিন বা ততোধিক নাম আসলে পুরুষের বেলায় আনহুম।
৬। মেয়েদের বেলায় আনহুমা বলা।
৭। তাবেঈন/তাবে – তাবেঈনদের/ পীর বুজুর্গদের নাম আসলে রাহ মাতুল্লাহি আলাইয়ে।
৮। জীবিত পীর বুজুর্গদের নাম আসলে দামার্ত বারাকাতুহু বলা।
৯। নবীগন ও ফেরেশতাদের নাম আসলে আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলা।