Skip to content

জুমাআ সলাত বা নামাজ আদায়ের পদ্ধতি I Friday Namaz

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

Table of Contents

জুমাআ সলাত বা নামাজ আদায়ের পদ্ধতি ?

জুমুআ সলাত বা নামাজ –

ইয়াওমুল জুমআ –

এই দিনটি মুসলিমদের সমাবেশের দিন। তাই এই দিনকে ‘ইয়াওমুল জুম’আ’ বলা হয়। এইদিনের বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন হাদীসে এসেছে; যেমন, আল্লাহ তা’আলা নভোমণ্ডল, ভূমণ্ডল ও সমস্ত জগৎকে ছয়দিনে সৃষ্টি করেছেন। এই ছয়দিনের শেষদিন ছিল জুম’আর দিন। [মুসলিম: ২৭৮৯] আরও এসেছে, “যে দিনগুলোতে সূৰ্য উদিত হয় তন্মধ্যে সবচেয়ে উত্তম দিন হচ্ছে, জুম’আর দিন। এই দিনেই আদম আলাইহিস সালাম সৃজিত হন, এই দিনেই তাকে জান্নাতে দাখিল করা হয় এবং এই দিনেই জন্নাত থেকে পৃথিবীতে নামানো হয়। আর কেয়ামত এই দিনেই সংঘটিত হবে।” [মুসলিম: ৮৫৪] আরও এসেছে, “এই দিনে এমন একটি মুহুর্ত আছে, যাতে মানুষ যে দো’আই করে, তাই কবুল হয়।”

[বুখারী: ১৯৩৫, মুসলিম: ৮৫২]

আল্লাহ তা’আলা প্রতি সপ্তাহে মানবজাতির সমাবেশ ও ঈদের জন্যে এই দিন রেখেছিলেন। কিন্তু পূৰ্ববতী উম্মতরা তা পালন করতে ব্যর্থ হয়। ইয়াহুদীরা ‘ইয়াওমুস সাবত’ তথা শনিবারকে নিজেদের সমাবেশের দিন নির্ধারিত করে নেয় এবং নাসারারা রবিবারকে। আল্লাহ তা’আলা এই উম্মতকে তওফীক দিয়েছেন যে, তারা শুক্রবারকে মনোনীত করেছে …………………।

(সূরা আল-জুম’আ আয়াত – ৯  [তাফসীরে জাকারিয়া, হাদিস বিডি])

নামাজের অধ্যায়ের সূচিপত্র / Table of Contents of Prayers …………..

জুমু’আর নামাযের  ওয়াক্ত বা সময় –

ক। জুমু’আর নামায সূর্য ঢলে যাওয়ার পরে-

ইয়াহয়া ইবনু ইয়াহয়া ও ইসহাক ইবরাহীম (রহঃ) … সালামা ইবনু আকওয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সূর্য মধ্যাকাশ হতে ঢলে যাওয়ার পর আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে জুমুআর সালাত আদায় করতাম। এরপর ছায়ায়ছায়ায় হেঁটে প্রত্যাবর্তন করতাম।

(মুসলিম সহীহ হাদিস – ১৮৬৫ ই ফা বা )

জুমু’আর দিন গোসল করা প্রসঙ্গে –

ক। জুমআর নামাযে আসার পূর্বে গোসল করে নেওয়া –

আদম ইবনু ইয়াস (রহঃ) … আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে মিম্বরের উপর থেকে খুতবা দিতে শুনেছি। তিনি বলেছেন, যে ব্যাক্তি জুমু’আর সালাতে আসে সে যেন গোসল করে নেয়।

(বুখারী সহীহ হাদিস নং – ৮৭৩ ই ফা বা / ৯১৯ আন্তঃ)

খ। জুমু’আর দিন গোসল করা ওয়াজিব –

ইয়াহয়া ইবনু ইয়াহয়া (রহঃ) … আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জুমু’আর দিনে গোসল করা প্রত্যেক সাবালক ব্যাক্তির উপর ওয়াজিব।

(মুসলিম সহীহ হাদিস – ১৮৩০  ই ফা বা )

 জুমু’আর সালাতের পূর্বে গোসল, তৈল, সুগন্ধি ব্যবহার করা –

সালমান ফারসী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যাক্তি জুমুআর দিন গোসল করে এবং যথাসাধ্য ভালরূপে পবিত্রতা অর্জন করে ও নিজের তেল থেকে ব্যবহার করে বা নিজ ঘরের সুগন্ধি ব্যবহার করে এরপর বের হয় এবং দু’জন লোকের মাঝে ফাঁক না করে, তারপর তার নির্ধারিত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করে এবং ইমামের খুতবা দেওয়ার সময় চুপ থাকে, তা হলে তার সে জুমুআহ থেকে আরেক জুমুআহ পর্যন্ত সময়ের যাবতীয় গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।

(বুখারী সহীহ হাদিস -৮৩৯  ই ফা বা / ৮৮৩ আন্তঃ, ৮৪১  ই ফা বা / ৮৮৫ আন্তঃ , মুসলিম সহীহ হাদিস – ১৮৩৩,১৮৩৪,১৮৩৫ ই ফা বা)

নামাজের অধ্যায়ের সূচিপত্র / Table of Contents of Prayers …………..

কাপড় পরিধান করা –

ক।  উত্তম কাপড় পরিধান করা –

জুমআর সালাত বা ঈদের সালাতে  আমরা অনেকেই রেশমীর এবং নতুন কাপড় পড়ার একটি প্রচলন বা প্রথা রয়েছে কিন্তু হাদিসের ভাষা অনুযায়ী “যা আছে তার মধ্য থেকে উত্তম কাপড় পরিধান করবে ” ।

(বুখারী সহীহ হাদিস – ৮৪২ ই ফা বা / ৮৮৬ আন্তঃ )

খ।  সলাত বা নামাজে এদিক ওদিক তাকান (নকশা চাদর পড়া) –

কুতায়বা (রহঃ) … আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি নকশা করা চাঁদর পরে সলাত (নামাজ) আদায় করলেন। সালাতের পরে তিনি বললেনঃ এ চাঁদরের কারুকার্য আমার মনকে নিবিষ্ট করে রেখেছিল। এটি আবূ জাহমের কাছে নিয়ে যাও এবং এর পরিবর্তে একটি “আম্বজিানিয়্যাহ” নিয়ে এস।

(বুখারী সহীহ হাদিস – ৭১৬ ই ফা বা / ৭৫২ আন্তঃ)

 গ।  উত্তম পোশাক সাদা পোশাক –

ইবনু আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা সাদা কাপড় পরিধান করো এবং তা দিয়ে তোমাদের মৃতদের কাফন পরাও; কেননা তা তোমাদের উত্তম পোশাক। আর তোমাদের জন্য উত্তম সুরমা হলো ’ইসমিদ’ সুরমা; কারণ তা দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় এবং চোখের পাতার চুল গজায়।

(আবুদাঊদ হাদিস নং – ৩৮৭৮ তাহকীককৃত, তিরমিজী – ৯৯৪ ,তাহকীককৃত , ইবনে মাজাহ – ১৪৭২ , মিশকাত – ১৬৩৮)

 ১। এই হাদীসটির দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, সাদা রং এর কাপড় সাধারণ পরিধান ও কাফনের জন্য হলো উত্তম ও মুস্তাহাব বা ভালো কাপড়; যেহেতু সাদা রং এর কাপড় অন্য রং এর কাপড় চেয়ে অধিক পবিত্র ও উত্তম। এই জন্য যে তাতে রয়েছে সুন্দরতা ও উৎকৃষ্টতা। এবং এই কাপড়কে অধিক পবিত্র এই জন্য বলা হয় যে, এই কাপড়ে কোন প্রকার মাটি বা ময়লা অথবা কোন প্রকার অপবিত্র বস্তু লাগলে, তা সহজই স্পষ্টভাবে প্রকাশ পায়। এবং তা ধৌত করে পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন ও পবিত্র করা হয়; তাই সাদা রং এর কাপড় বেশি পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন ও পবিত্র থাকে।

২। এই হাদীসটির দ্বারা এটাও প্রমাণিত হয় যে, সাদা রং এর কাপড়ের বিষয়ে পুরুষের বিধান নারীর বিধানের মতই; তাই এই বিষয়ে পুরুষ ও নারীদের বিধানের মধ্যে কোনো পার্থক্যের কোন সহীহ হাদীস বা দলিল নেই। যে ব্যক্তি পার্থক্যের দাবী করবে, তার জন্য প্রমাণ বা সহীহ হাদীস অথবা দলিল উপস্থাপন করা অপরিহার্য হয়ে যাবে।

আর এই বিধানের ক্ষেত্রে নারীরা হলো পুরুষদের মতই। তাই এই বিষয়ে মহান আল্লাহ পুরুষদের জন্য যে বিধান সাব্যস্ত করেছেন, নারীদের জন্য সেই বিধান প্রযোজ্য। তবে যদি নারীদেরকে সেই সাধারণ বিধান থেকে আলাদা করার কোন দলিল থাকেতাহলে সেটা হবে স্বতন্ত্র বিষয়।

আলোচনা – হাদিস বিডি

জুমআর নামাযে দুই বার আযান দেওয়া প্রসঙ্গে :

১।  খুতবার সময় আযান  –

বর্তমানে আমাদের দেশে জুমআর সালাতে দুটি আযান দেওয়ার যে নিয়ম রয়েছে তা নবীজি (সা:) সুন্নাহ  সম্মত নয় , জুমু’আর দিন ইমাম যখন মিম্বরের উপর বসতেন, তখন প্রথম আযান দেওয়া হত।

আমরা এই নিন্মোক্ত হাদিসের ভাষা অনুযায়ী জানতে পারি –

মুহাম্মদ ইবনু মুকাতিল (রহঃ) … সায়িব ইবনু ইয়াযীদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আবূ বকর (রাঃ) এবং উমর (রাঃ) এর যুগে জুমু’আর দিন ইমাম যখন মিম্বরের উপর বসতেন, তখন প্রথম আযান দেওয়া হত। এরপর যখন উসমান (রাঃ) এর খিলাফতের সময় এল এবং লোকসংখ্যা বৃদ্ধি পেল, তখন উসমান (রাঃ) জুমু’আর দিন তৃতীয় আযানের নির্দেশ দেন। ’যাওরা’ নামক স্থান থেকে এ আযান দেওয়া হয়, পরে এ আযান অব্যাহত থাকে।

(বুখারী সহীহ হাদিস নং – ৮৬৬ ,৮৭০  ই ফা বা / ৯১২ ,৯১৬ আন্তঃ )

নোট: আবূ আবদুল্লাহ (ইমাম বুখারী) (রহঃ) বলেন, যাওরা’ হল মদিনার অদূরে বাজারের একটি স্থান।

২।  আযানের সময় মিম্বারের উপর বসা-

ইয়াহইয়া ইবনু বুকাইর (রহঃ) … সায়িব ইবনু ইয়াযীদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মসজিদে মুসল্লীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে, উসমান (রাঃ) জুমু’আর দিন দ্বিতীয় আযানের নির্দেশ দেন। ইতিপূর্বে জুমু’আর দিন ইমাম যখন (মিম্বরের উপর) বসতেন, তখন আযান দেওয়া হত।

(বুখারী সহীহ হাদিস নং – ৮৬৯ ই ফা বা /৯১৫ আন্তঃ )

আরবী ভাষায় খুৎবা এবং মাতৃ ভাষায় খুৎবা দেওয়া প্রসঙ্গে –

আল-কুরআন এবং হাদিসের ব্যাখ্যা অনুযায়ী জুম’আর সালাতের পূর্বের যে খুৎবা দেওয়া হয় সেটি যদি মাতৃ ভাষায় দেওয়া হয় তাহলে সেটি হবে সুন্নাহ মোতাবেক আর যদি আরবী ভাষায় দেওয়া হয় তাহলে সেটা সুন্নাহ বিরোধী হয়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরবী ভাষায় খুৎবা দিতেন না।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকদের সামনে উনার মাতৃ ভাষায় খুৎবা দিতেন, উনার মাতৃ ভাষা ছিল আরবী।

আল-কুরআনের বাণী –

وَ مَاۤ اَرۡسَلۡنَا مِنۡ رَّسُوۡلٍ اِلَّا بِلِسَانِ قَوۡمِهٖ لِیُبَیِّنَ لَهُمۡ ؕ فَیُضِلُّ اللّٰهُ مَنۡ یَّشَآءُ وَ یَهۡدِیۡ مَنۡ یَّشَآءُ ؕ وَ هُوَ الۡعَزِیۡزُ الۡحَکِیۡمُ

অর্থ : আমি কোন রসূলকেই তার জাতির ভাষা ছাড়া পাঠাইনি যাতে তাদের কাছে স্পষ্টভাবে (আমার নির্দেশগুলো) বর্ণনা করতে পারে। অতঃপর আল্লাহ যাকে ইচ্ছে পথহারা করেছেন, আর যাকে ইচ্ছে সঠিক পথ দেখিয়েছেন, তিনি বড়ই পরাক্রান্ত, বিজ্ঞানময়।

(সূরা ইব্রাহিম আয়াত – ৪ [তাফসীর – তাইসিরুল])

অন্য আরেকটি সূরায় মাতৃ ভাষা সম্পর্কে বর্ননা এসেছে –

فَاِنَّمَا یَسَّرۡنٰهُ بِلِسَانِکَ لَعَلَّهُمۡ یَتَذَکَّرُوۡنَ

অর্থ : আমি তোমার ভাষায় কুরআনকে সহজ করে দিয়েছি যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।

(সূরা আদ-দুখান আয়াত – ৫৮ [তাফসীর – তাইসিরুল])

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল-কুরআনের আয়াত পাঠ করে ,মাতৃভাষায় উপস্থিত লোকদের কে উপদেশ বা ভাষণ বা খুৎবা দিতেন।

নামাজের অধ্যায়ের সূচিপত্র / Table of Contents of Prayers …………..

সালাতের আগে দু’টি খুতবা এবং তার মাঝখানে বৈঠক-

ইয়াহয়া ইবনু ইয়াহয়া (রহঃ) … জাবির ইবনু সামুরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে খুতবা দিতেন। এরপর বসে পূনরায় দাঁড়িয়ে খুতবা দিতেন। যে ব্যাক্তি তোমাকে বলে যে, তিনি বসে খুতবা দিতেন সে মিথ্যা বলেছে। আল্লাহর কসম, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে দু’হাজারেরও অধিকবার সালাত আদায় করেছি।

(মুসলিম সহীহ হাদিস – ১৮৬৭, ১৮৬৮, ১৮৬৯, ১৮৭০  ই ফা বা )

 মিম্বরের উপর খুতবা দেওয়া, আনাস (রাঃ) বলেছেন, নবী করীম () মিম্বর থেকে খুতবা দিতেন-

আদম ইবনু ইয়াস (রহঃ) … আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে মিম্বরের উপর থেকে খুতবা দিতে শুনেছি। তিনি বলেছেন, যে ব্যাক্তি জুমু’আর সালাতে আসে সে যেন গোসল করে নেয়।

(বুখারী সহীহ হাদিস নং – ৮৭৩ ই ফা বা / ৯১৯ আন্তঃ)

জুমু’আর দিন ইমাম খুতবা দেওয়ার সময় অন্যকে চুপ করানো –

وَقَالَ سَلْمَانُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُنْصِتُ إِذَا تَكَلَّمَ الإِمَامُ

সালমান ফারেসী (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, যখন ইমাম কথা বলবেন, তখন চুপ থাকবে।

ইয়াহইয়া ইবনু বুকাইর (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জুমু’আর দিন যখন তোমার পাশের মুসুল্লীকে বলবে চুপ থাক, অথচ ইমাম খুতবা দিচ্ছেন, তা হলে তুমি একটি অনর্থক কথা বললে।

(বুখারী সহীহ হাদিস – ৮৮৭ ই ফা বা / ৯৩৪ আন্তঃ,  মুসলিম সহীহ হাদিস – ১৮৩৮,১৮৩৯,১৮৪১ ই ফা বা)

 নোটঃ খুৎবা চলাকালীন , নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রয়োজনে মুছল্লীদের সাথে কথাও বলতেন। মুছল্লিরাও কোন সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে প্রশ্ন করতেন যেমনঃ ” আবূ রিফা’আ (রাঃ) বলেন, হে আল্লাহর রাসুল! একজন মুসাফির এসেছে সে দ্বীন সম্পর্কে জানতে চায়। রাবী বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন খুতবা বন্ধ করে আমার দিকে অগ্রসর হলেন এবং আমার নিকট এসে পৌছলেন “। এছাড়াও খুৎবা চলাকালীন একজন মসজিদে প্রবেশ করে সে নামায না পরে বসে তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুৎবা বন্ধ করে তাকে সালাত আদায় করতে বলেন। আরও একটি হাদিসে একজন মুছল্লী বলেছিল বৃষ্টির জন্য দোয়া করতে তখন তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুৎবা বন্ধ করে বৃষ্টির জন্য দোয়া করলেন।                                      

মিম্বরটি কিসের তৈরী ছিল ?

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সময় মিম্বার ছিল ঝাউ কাঠ দিয়ে  তৈরী…………….।

(বুখারী সহীহ হাদিস – ৮৭১ ই ফা বা /৯১৭আন্তঃ )

জুমু’আর (ফরয সালাতের) আগে ও পরে সালাত আদায় করা প্রসঙ্গে –

ক। ইমাম খুতবা দেওয়ার সময় কেউ যদি মসজিদে প্রবেশ করে তাকে দু’ রাকা’আত সালাত আদায়ের আদেশ দেওয়া-

আবূ নু’মান (রহঃ) … জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, (কোন এক) জুমু’আর দিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকদের সামনে খুতবা দিচ্ছিলেন। এমনি সময় এক ব্যাক্তি আগমণ করল। তিনি তাঁকে

জিজ্ঞাসা করলেন, হে অমুক! তুমি কি সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেছ? সে বলল, না; তিনি বললেন, উঠ, সালাত আদায় করে নাও।

(বুখারী সহীহ হাদিস – ৮৮৩ ই ফা বা / ৯৩০ আন্তঃ, মুসলিম সহীহ হাদিস নং- ১৯০৭ হা একাডেমি/৮৭৫ আন্তঃ,  মুসলিম সহীহ হাদিস – ১৮৯১ থেকে ১৮৯৭  ই ফা বা)

                                                                                               

১ = মুসলিম সহীহ হাদিস – ১৮৯৮ ই ফা বা

২ = মুসলিম সহীহ হাদিস – ১৮৯১ ই ফা বা

৩ = বুখারী সহীহ হাদিস – ৮৮৫ ই ফা বা

খ।  জুমআর সালাতের পূর্বে সাধ্যনুযায়ী সালাত, পবিত্রতা অর্জন ও সকাল সকাল মসজিদে গমন-

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি গোসল করে জুমু’আর সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করতে এসেছে ও যতটুকু সম্ভব হয়েছে সালাত আদায় করেছে, ইমামের খুত্ববাহ্ (খুতবা) শেষ হওয়া পর্যন্ত চুপচাপ রয়েছে। এরপর ইমামের সাথে সালাত (ফরয) আদায় করেছে। তাহলে তার এ জুমু’আহ্ থেকে বিগত জুমু’আর মাঝখানে, বরং এর চেয়েও তিন দিন আগের গুনাহসমূহ মাফ করে দেয়া হবে।

(মিশকাত সহীহ হাদিস – ১৩৮২)

 গ। জুমু‘আর ফরয সালাতের পূর্বের সালাত (কাবলাল জুমু‘আহ্)-

জুমআর নামাজের পূর্বে চার রাকআত পড়তে হবে এই হাদীসটি ” জঈফ “ বরং সহীহ হাদিসে এসেছে “সাধ্যনুযায়ী” সালাত আদায় করা।

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুমুআহর (ফরয) সালাতের পূর্বে চার রাকআত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতেন এবং তাতে মাঝখানে সালাম ফিরাতেন না।

(সুনান ইব্নে মাজাহ জঈফ হাদিস – ১১২৯ )

নোট : তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ জিদ্দান। তাখরীজ আলবানী: জামি সগীর ৪৫৫০ যঈফ জিদ্দান, যঈফা ১০০১ বাতিল। উক্ত হাদিসের রাবী বাকিইয়্যাহ সম্পর্কে আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, যখন তিনি সিকাহ রাবী থেকে হাদিস বর্ণনা করেন তখন তাকে সিকাহ হিসেবে গন্য করা হবে। ইমাম নাসাঈ বলেন, যখন তিনি হাদ্দাসানা বা আখবারনা শব্দদয় দ্বারা হাদিস বর্ণনা করেন তখন তিনি সিকাহ হিসেবে গন্য হবেন। ২. মুবাশশির বিন উবায়দ সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি বানিয়ে হাদিস বর্ণনা করেন। ইমাম বুখারী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার। ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি বানিয়ে হাদিস বর্ণনা করেন ও মিথ্যুক এবং তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। ইমাম যাহাবী বলেন, হাদীস বিশারদগণ তাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন।

জুমুআর পরবর্তী (সুন্নাত) –

ক। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়রা ও আমরুন নাকিদ (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা জুমু’আর পর সালাত আদায় করলে চার রাকআত আদায় করবে। আমর এর বর্ণনায় এ কথা অতিরিক্ত রয়েছে যে, ইবনু ইদ্রীস বলেন, সুহায়ল বলেছেন যে, যদি তোমার তাড়াহুড়ো থাকে তবে মসজিদে দু’রাকআত ও বাড়ীতে গিয়ে দু’রাকআত পড়ে নাও।

(মুসলিম সহীহ হাদিস নং- ১৯১০ ই ফা বা, মিশকাত সহীহ হাদিস – ১১৬৬)

খ।  ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) থেকে এ হাদীসটিও বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুমু’আর সালাতের পর কামরায় পৌঁছার পূর্বে কোন সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করতেন না। কামরায় পৌঁছার পর তিনি দু’ রাক্’আত সালাত আদায় করতেন।

(মিশকাত সহীহ হাদিস – ১১৬১)

গ।  আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) … আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুহরের পূর্বে দু’ রাকা’আত ও পরে দু’ রাকা’আত, মাগরিবের পর নিজের ঘরে দু’ রাকা’আত এবং ইশার পর দু’ রাকা’আত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতেন। আর জুমু’আর দিন নিজের ঘরে ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত সালাত আদায় করতেন না। (ঘরে গিয়ে) দু’ রাকা’আত সালাত আদায় করতেন।

(বুখারী সহীহ হাদিস – ৮৯০ ই ফা বা / ৯৩৭ আন্তঃ)

 জুম্মার সলাত বা নামাজ ওয়াজিব –

আবদুল্লাহ ইবনু আবদুল ওয়াহহাব (রহঃ) … আবদুল্লাহ ইবনু হারিস (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক বৃষ্টির দিনে ইবনু আব্বাস (রাঃ) আমাদের উদ্দেশ্যে খুৎবা দিচ্ছিলেন। মুয়ায্‌যিন যখন حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ‏ পর্যন্ত পৌছলো, তখন তিনি তাঁকে বললেন, ঘোষণা করে দাও যে, সালাত যার যার আবাসে। এ শুনে লোকেরা একে অন্যের দিকে তাকাতে লাগল – যেন তারা বিষয়টিকে অপছন্দ করল। তিনি তাদের লক্ষ করে বললেন, মনে হয় তোমরা বিষয়টি অপছন্দ করছ। তবে, আমার চেয়ে যিনি উত্তম ছিলেন অর্থাৎ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনই এরূপ করেছেন। একথা সত্য যে জুম্মার সালাত (নামায/নামাজ) ওয়াজিব। তবে তোমাদের অসুবিধায় ফেলা আমি পছন্দ করি না।

(বুখারী সহীহ হাদিস-৬৩৫ ই ফা বা /৬৬৮ আন্তঃ)

 খুতবায় দু’হাত তুলে বৃষ্টির জন্য দোয়া করা –

মুসাদ্দাদ (রহঃ) … আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক জুমু’আর দিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুতবা দিচ্ছিলেন। তখন এক ব্যাক্তি দাঁড়িয়ে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! (পানির অভাবে) ঘোড়া মরে যাচ্ছে, ছাগল বকরীও মরে যাচ্ছে। কাজেই আপনি দু’আ করুন, যেন আল্লাহ আমাদেরকে বৃষ্টি দান করেন। তখন তিনি দু’হাত প্রসারিত করলেন এবং দু’আ করলেন।

(বুখারী সহীহ হাদিস – ৮৮৫ ই ফা বা / ৯৩২ আন্তঃ , ৮৮৬ ই ফা বা / ৯৩৩আন্তঃ)

যারা উপস্থিত হয়েছে তাদের নিয়েই কি ইমাম সালাত আদায় শুরু করবে এবং বৃষ্টির দিনে কি জুমু’আর খুৎবা দিবে?

আবদুল্লাহ ইবনু আবদুল ওয়াহহাব (রহঃ) … আবদুল্লাহ ইবনু হারিস (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক বৃষ্টির দিনে ইবনু আব্বাস (রাঃ) আমাদের উদ্দেশ্যে খুৎবা দিচ্ছিলেন। মুয়ায্‌যিন যখন حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ‏ পর্যন্ত পৌছলো, তখন তিনি তাঁকে বললেন, ঘোষণা করে দাও যে, সালাত যার যার আবাসে। এ শুনে লোকেরা একে অন্যের দিকে তাকাতে লাগল – যেন তারা বিষয়টিকে অপছন্দ করল। তিনি তাদের লক্ষ করে বললেন, মনে হয় তোমরা বিষয়টি অপছন্দ করছ। তবে, আমার চেয়ে যিনি উত্তম ছিলেন অর্থাৎ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনই এরূপ করেছেন। একথা সত্য যে জুম্মার সালাত (নামায/নামাজ) ওয়াজিব। তবে তোমাদের অসুবিধায় ফেলা আমি পছন্দ করি না।

হাম্মাদ (রহঃ) … ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকেও অনুরূপ বর্ণিত আছে। তবে এ সূত্রে এরূপ উল্লেখ আছে, আমি তোমাদের গুনাহর অভিযোগে ফেলতে পছন্দ করি না যে, তোমরা হাঁটু পর্যন্ত কাদা মাড়িয়ে আসবে।

(বুখারী সহীহ হাদিস – ৬৩৫ ই ফা বা  / ৬৬৮ আন্তঃ , ৬৩৬ ই ফা বা  / ৬৬৯ আন্তঃ)

জুমু’আর দিন মিসওয়াক করা –

وَقَالَ أَبُو سَعِيدٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْتَنُّ

আবূ সায়ীদ খুদরী (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি মিসওয়াক করতেন।

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার উম্মাতের জন্য বা তিনি বলেছেন, লোকদের জন্য যদি কঠিন মনে না করতাম, তা হলে প্রত্যেক সালাত (নামায/নামাজ)-এর সাথে তাদের মিসওয়াক করার নির্দেশ দিতাম।

(বুখারী সহীহ হাদিস – ৮৪৩ ই ফা বা / ৮৮৭ আন্তঃ)

হাদীসের শিক্ষা-

প্রাসঙ্গিক আলোচনা (হাদিস বিডি) –

মিসওয়াক উম্মতের জন্য অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত। ফরয হওয়া থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে কিন্তু সুন্নাত হিসেবে অবশিষ্ট থাকবে।

১. উম্মতের প্রতি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের পূর্ণ মায়া মহব্বত ও দয়া। যা তাদের কষ্ট দিবে তা থেকে তিনি প্রবর্তন করা থেকে সর্বদা দূরে থাকতেন।

২. মিসওয়াকের ফযীলত ও মুস্তাহাব হওয়া প্রমাণিত হলো।

৩. সালাতের সময় মিসওয়াক করার বিষয়টি অত্যধিক তাগিদপূর্ণ হওয়া। আর তা প্রতিটি সালাতের জন্যই, চাই তা ফরয সালাত হোক কিংবা নফল সালাত অথবা জানাযার সালাত হোক।

৪. ইসলামী শরীআত সহজ ও আমলযোগ্য হওয়ার প্রমাণ। এতে এমন কিছু নেই যা করা অসম্ভব বা প্রাণান্তকর।

৫. কল্যাণ আহরণের চেয়ে ক্ষতি নিরোধ আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

৬. হাদীসের দাবির ব্যাপকতা থেকে বুঝা যায় যে, সাওম পালনকারীগণের জন্যও তা ফযীলতপূর্ণ জিনিস, যদিও সূর্য পশ্চিম দিগন্তে চলে যাওয়ার পর হয়। যেমন, যোহর কিংবা আসরের সময়।

৭. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশ থাকলে তার সাধারণ দাবি হচ্ছে বাধ্যতামূলক হওয়া।

৮. সালাতের বিষয়টি অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ ও সম্মানিত হওয়া। কারণ, সালাতের জন্য বিশেষ করে মিসওয়াক করার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। বস্তুত মানুষ তখন আল্লাহর সাথে কথোপকথন করে। সুতরাং তার মুখ দুর্গন্ধমুক্ত হোক এটা একজন ঈমানদার সর্বদা কামনা করে।

৯. এ হাদীসের কোনো কোনো বর্ণনায় এসেছে, “প্রত্যেক সালাতের ওযূর সময়” যা ইমাম আহমাদ, নাসায়ী ও মালিক রাহিমাহুমুল্লাহ বর্ণনা করেছেন। এর দ্বারা কেউ কেউ বলেছেন, আলোচ্য হাদীসের প্রয়োগক্ষেত্র হচ্ছে সালাতের ওযূর সময়ে।

(হাদিস বিডি)

জুমু’আর দিনের ফযীলত –

আবূ তাহির, হারামালা ও আমর ইবনু সাওয়াদ আন-আমিরী (রহঃ) … আবূ আবদুল্লাহ আগার (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) কে বলতে শুনেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে, শুক্রবার দিন মসজিদের প্রতিটি দরজায় ফেরিশতারা অবস্থান গ্রহণ করে এবং আগমনকারীদের নাম ক্রমানূসারে লিপিবদ্ধ করতে থাকে। ইমাম যখন (মিম্বরে) বসেন, তারা লিপিসমূহ গুটিয়ে নেয় এবং যিক্‌র (খুতবা) শোনার জন্য আসে।

মসজিদে যে আগে আসে তার উদাহরণ সে ব্যাক্তির মত যে একটি উটনী কুরবানী করেছে। তার পরবর্তীজনের। দৃষ্টান্ত তার মত যে একটি গাভী কুরবানী করেছে। তার পরবর্তীজনের দৃষ্টান্ত তার মত যে ভেড়া কুরবানী করেছে এবং তার পরবর্তীজনের দৃষ্টান্ত তার মত যে একটি মুরগি দান করেছে। পরবর্তীজনের দৃষ্টান্ত তার মত যে একটি ডিম দান করেছে।

(মুসলিম সহীহ হাদিস – ১৮৫৭ ই ফা বা )

জুমু’আর দিন দু’আ কবুলের মুহূর্ত প্রসঙ্গ

যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবূল কাসিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জুমুআর (দিবসে) এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে, কোন মুসলিম বান্দা সালাতে দাঁড়ান অবস্থায় সে মুহূর্তটি পেলে এবং আল্লাহর নিকট কোন কল্যাণ প্রার্থনা করলে, আল্লাহ অবশ্যই তাকে তা দিবেন। তিনি হাতদ্বারা ইশারা করে সময়ের স্বল্পতা বুঝিয়েছেন।

(মুসলিম সহীহ হাদিস – ১৮৪২,১৮৪৩  ই ফা বা )

নামাজের অধ্যায়ের সূচিপত্র / Table of Contents of Prayers …………..

Leave a Reply