Skip to content

পেশাব-পায়খানার  ইসলামের বিধান I Urinary toilet

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

পবিত্রতা

পেশাব-পায়খানার  ইসলামের বিধান

পেশাব-পায়খানা

আসসালামু আলাইকুম, প্রতিটি মানুষের খাবারের যেমন প্রয়োজনীয়তা  আছে তেমনি তার পেশাব-পায়খানা বা প্রাকৃতিক প্রয়োজন মিটানোরও প্রয়োজন রয়েছে। এক্ষেত্রে মুমিন নেককার বান্দা অবশ্যই কিছু আদব-কায়েদা বা শিষ্টাচার মেনে চলবে। কেননা সে অন্য জাতি-ধর্মের মানুষের মত যেখানে-সেখানে এ প্রয়োজন মিটাতে পারে না। আবার ইসলামের নির্দেশনার বাইরেও এসব কাজ সম্পাদন করতে পারে না। বরং এসব ক্ষেত্রে ইসলামে যেসব আদব বা শিষ্টাচার রয়েছে, তা মেনে চলা প্রত্যেক মুমিনের জন্য কর্তব্য। নিম্নে এ সম্পর্কিত শৌচাগার বা টয়লেটে  শিষ্টাচার সমূহ উল্লেখ করা হ’ল।–

মহান আল্লাহ-তাআলার বাণী –

لَا تَقُمۡ فِیۡهِ اَبَدًا ؕ  لَمَسۡجِدٌ اُسِّسَ عَلَی التَّقۡوٰی مِنۡ اَوَّلِ یَوۡمٍ اَحَقُّ اَنۡ تَقُوۡمَ فِیۡهِ ؕ  فِیۡهِ رِجَالٌ یُّحِبُّوۡنَ اَنۡ یَّتَطَهَّرُوۡا ؕ  وَ اللّٰهُ یُحِبُّ الۡمُطَّهِّرِیۡنَ

অর্থ – তুমি সেখানে কখনো (সালাত কায়েম করতে) দাঁড়িও না। অবশ্যই যে মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তাকওয়ার উপর প্রথম দিন থেকে তা বেশী হকদার যে, তুমি সেখানে সালাত কায়েম করতে দাঁড়াবে। সেখানে এমন লোক আছে, যারা উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জন করতে ভালবাসে। আর আল্লাহ পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালবাসেন।

( সূরা আত-তাওবা আয়াত – ১০৮)

মহান আল্লাহ তায়ালা অন্য আরেকটি আয়াতে বলেন ,

অর্থ – হে মুমিনগণ, যখন তোমরা সালাতে দন্ডায়মান হতে চাও, তখন তোমাদের মুখ ও কনুই পর্যন্ত হাত ধৌত কর, মাথা মাসেহ কর এবং টাখনু পর্যন্ত পা (ধৌত কর)। আর যদি তোমরা অপবিত্র থাক, তবে ভালোভাবে পবিত্র হও। আর যদি অসুস্থ হও কিংবা সফরে থাক অথবা যদি তোমাদের কেউ পায়খানা থেকে আসে অথবা তোমরা যদি স্ত্রী সহবাস কর অতঃপর পানি না পাও, তবে পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম কর। সুতরাং তোমাদের মুখ ও হাত তা দ্বারা মাসেহ কর। আল্লাহ তোমাদের উপর কোন সমস্যা সৃষ্টি করতে চান না, বরং তিনি চান তোমাদের পবিত্র করতে এবং তার নিআমত তোমাদের উপর পূর্ণ করতে, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন কর। আল-বায়ান

( সূরা মায়েদা আয়াত – ৬)

সূচিপত্র (নামাজ শিক্ষা বই)……………

যে স্থানে পেশাব করা নিষেধ –

কুতায়বা ইবনু সাঈদ …. আবূ হুরায়রা (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়ৗ সাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, তোমরা এমন দুইটি কাজ হতে বিরত থাক যা অভিশপ্ত। সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! সেই অভিশপ্ত কাজ দুইটি কি? জবাবে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সল্লাম বলেনঃ যে ব্যাক্তি মানুষের যাতায়াতের পথে কিংবা ছায়াযুক্ত স্থানে (বৃক্ষের ছায়ায় যেখানে মানুষ বিশ্রাম গ্রহণ করে) পেশাব-পায়খানা করে ।

( আবু দাঊদ সহীহ হাদিস – ২৫ ই ফা বা, মুসলিম )

 

শৌচাগার বা টয়লেটে প্রবেশের সময় কি বলতে হয় –

আদম (রহঃ) ….. আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন প্রকৃতির ডাকে শৌচাগারে যেতেন তখন বলতেন, “আল্লাহুম্মা ইন্নী আঊযুবিকা মিনাল খুবুছি ওয়াল খাবায়িছ” (হে আল্লাহ! আমি মন্দ কাজ ও শয়তান থেকে আপনার স্মরণ নিচ্ছি।)

ইবনু ’আর’আরা (রহঃ) শু’বা (রহঃ) সূত্রেও অনুরূপ বর্ণনা করেন। গুনদার (রহঃ) শু’বা (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন,إِذَا أَتَى الْخَلاَءَ‏ (যখন শৌচাগারে যেতেন)। মূসা (রহঃ) হাম্মাদ (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন,إِذَا دَخَلَ (যখন প্রবেশ করতেন)। সাঈদ ইবন যায়দ (রহঃ) আবদুল আযীয (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন, যখন প্রবেশ করার ইচ্ছা করতেন।

( বুখারী সহীহ হাদিস – ১৪৪ ই ফা বা/ ১৪২ আন্তঃ )

 

শৌচাগারে বা টয়লেটে কাছে পানি রাখা –

আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) …. ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শৌচাগারে গেলেন, তখন আমি তাঁর জন্য উযূর পানি রাখলাম। তিনি জিজ্ঞাসা করলেনঃ এটা কে রেখেছে? তাঁকে জানানো হলে তিনি বলেন, ইয়া আল্লাহ! আপনি তাকে দ্বীনের জ্ঞান দান করুন।

( বুখারী সহীহ হাদিস – ১৪৫ ই ফা বা/ ১৪৩ আন্তঃ )

 

দুই ইটের ওপর বসে মলমূত্র ত্যাগ করা –

আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) …. ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, লোকে বলে মল-মূত্র ত্যাগের সময় কিবলার দিকে এবং বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে মুখ করে বসবে না। ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমর (রাঃ) বলেন, ’আমি একদিন আমাদের ঘরের ছাদের উপর উঠলাম। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দেখলাম বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে মুখ করে দুটি ইটের উপর তাঁর প্রয়োজনে বসেছেন। তিনি [ওয়াসি (রহঃ)-কে] বললেন, তুমি বোধ হয় তাদের মধ্যে শামিল, যারা নিতম্বের ওপর ভর করে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করে। আমি বললাম, আল্লাহর কসম! আমি জানিনা। মালিক (রহঃ) বলেন, (নিতম্বের উপর ভর করার অর্থ হল) যারা সালাত আদায় করে এবং মাটি থেকে নিতম্ব না তুলে সিজদা করে।

( বুখারী সহীহ হাদিস – ১৪৭ ই ফা বা/ ১৪৫ আন্তঃ )

 

মহিলাদের বাইরে বসে প্রাকৃতিক প্রয়োজন মিটানো-

ইয়াহইয়া ইবনু বুকায়র (রহঃ) … ’আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পত্নীগণ রাতের বেলায় প্রাকৃতিক প্রয়োজনে খোলা ময়দানে যেতেন। আর ’উমর (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম–কে বলতেন, আপনার সহধর্মিণীগণকে পর্দায় রাখুন। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা করেননি। এক রাতে ঈশার সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পত্নী সাওদা বিনত যাম’আ (রাঃ) প্রাকৃতিক প্রয়োজনে বের হলেন। তিনি ছিলেন দীর্ঘকায়া। ’উমর (রাঃ) তাঁকে ডেকে বললেন, হে সাওদা! আমি কিন্তু আপনাকে চিনে ফেলেছি। পর্দার হুকুম নাযিল হওয়ার আগে তিনি এ কথা বলেছিলেন। তারপর আল্লাহ তা’আলা পর্দার হুকুম নাযিল করেন।

( বুখারী সহীহ হাদিস – ১৪৮ ই ফা বা/ ১৪৬ আন্তঃ )

সূচিপত্র (নামাজ শিক্ষা বই)……………

পানি দ্বারা ইসতিনজা –

ক।  পানি দ্বারা ইসতিনজা করা –

আবূল ওলীদ হিশাম ইবনু ’আবদুল মালিক (রহঃ) …. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন প্রাকৃতিক প্রয়োজনে বের হতেন তখন আমি ও আরেকটি ছেলে পানির পাত্র নিয়ে আসতাম। অর্থাৎ তিনি তা দিয়ে ইসতিনজা করতেন।

ইসতিনজার জন্য পানির সাথে (লৌহ ফলকযুক্ত) লাঠি নিয়ে যাওয়া

( বুখারী সহীহ হাদিস – ১৫২ ই ফা বা/ ১৫০ আন্তঃ )

 

খ।  ইসতিনজার জন্য পানির সাথে (লৌহ ফলকযুক্ত) লাঠি নিয়ে যাওয়া –

মুহাম্মদ ইবনু বাশশার (রহঃ) … আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন শৌচাগারে যেতেন তখন আমি ও আরেকটি ছেলে পানির পাত্র এবং ’আনাযা’ নিয়ে যেতাম। তিনি পানি দ্বারা ইসতিনজা করতেন।

নাযর (রহঃ) ও শাযান (রহঃ) শু’বা (রহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেন। হাদীসে বর্ণিত (عَنَزَة) ’আনাযা’ শব্দের অর্থ এমন লাঠি যার মাথায় লোহা লাগানো থাকে।

( বুখারী সহীহ হাদিস – ১৫৪ ই ফা বা/ ১৫২ আন্তঃ )

 

পাথর দিয়ে ইসতিনজা করা –

আহমদ ইবনু মুহাম্মদ আল-মক্কী (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রাকৃতিক প্রয়োজনে বের হলে আমি তাঁর অনুসরণ করলাম। আর তিনি এদিক ওদিক তাকাতেন না। যখন আমি তাঁর নিকটবর্তী হলাম তখন তিনি আমাকে বললেন, আমাকে কিছু পাথর কুড়িয়ে দাও, আমি তা দিয়ে ইসতিনজা করব। (বর্ণনাকারী বলেন), বা এ ধরনের কোন কথা বললেন, আর আমার জন্য হাড় বা গোবর আনবে না। তখন আমি আমার কাপড়ের কোচায় করে কয়েকটি পাথর এনে তাঁর পাশে রাখলাম এবং আমি তাঁর থেকে সরে গেলাম। তিনি প্রয়োজন শেষে সেগুলো ব্যবহার করলেন।

 ( বুখারী সহীহ হাদিস – ১৫৭ ই ফা বা/ ১৫৫ আন্তঃ )

 

তিনটি ঢিলা-কুলুখ ব্যবহার করা –

মুসাদ্দাদ ইবনু মূসারহাদ …. সালমান (রাঃ) হতে বর্ণিত রাবী (বর্ণনাকারী) বলেনঃ আমাকে এরুপ বলা হয়েছে যে, নিশ্চই তোমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাদেরকে সবকিছুই শিক্ষা দিয়ে থাকেন, এমনকি পায়খানার রীতিনীতি সম্পর্কেও। তদুত্তরে তিনি বলেনঃ হ্যাঁ নিশ্চই নবী সাল্লাল্লাহু ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে কিবুলামুখী হয়ে পেশাব-পায়খানা করতে নিষেধ করেছেন। তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেছেনঃ আমরা যেন ডান হাত দিয়ে ইস্তিঞ্জা না করি এবং আমাদের কেউ যেন তিনটি প্রস্তরের। (ঢিলা-কুলুখের) কমে ইস্তিঞ্জা (পবিত্রতা অর্জন) না করে অথবা কেউ যেন গোবর বা হাড় দিয়ে ইস্তিঞ্জা না করে।

( আবু দাঊদ সহীহ হাদিস – ৭ ই ফা বা, মুসলিম, তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, নাসাঈ)

 

ডান হাতে ইসতিনজা করার নিষেধাজ্ঞা –

মু’আয ইবনু ফাযালা (রহঃ) … আবূ কাতাদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমাদের কেউ যখন পান করে, তখন সে যেন পাত্রের মধ্যে নিঃশ্বাস না ছাড়ে। আর যখন শৌচাগারে যায় তখন তার পুরূষাঙ্গ যেন ডান হাত দিয়ে স্পর্শ না করে এবং ডান হাতে ইস্তিঞ্জা না করে।

( বুখারী সহীহ হাদিস – ১৫৫,১৫৬ ই ফা বা/ ১৫৩,১৫৪ আন্তঃ )

 

পেশাব-পায়খানা করার সময় কেউ যেন দেখতে না পারে –

মুসাদ্দাদ ইবনু মূসারহাদ …. জাবের ইবনু আবদুল্লাহ্ হতে বর্ণিত তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন পায়খানার ইরাদা করতেন, তখন তিনি এতদূরে গমন করতেন যে, তাকে কেউ দেখতে পেতনা।

( আবু দাঊদ সহীহ হাদিস – ২ ই ফা বা, ইবনু মাজাহ- ৩৩০১, তিরমিজী হাদিস – ২০ )

 

গোবর দিয়ে ইসতিনজা না করা –

আবূ নু’আয়ম (রহঃ) … ’আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) একবার শৌচ কাজে যাবার সময় তিনটি পাথর কুড়িয়ে দিতে আমাকে আদেশ দিলেন। তখন আমি দু’টি পাথর পেলাম এবং তৃতীয়টির জন্য খোঁজাখুঁজি করলাম কিন্তু পেলাম না। তাই একখণ্ড শুকনো গোবর নিয়ে তাঁর কাছে গেলাম। তিনি পাথর দু’টি নিলেন এবং গোবর খণ্ড ফেলে দিয়ে বললেন, এটা নোংরা।

ইবরাহীম ইবন ইউসুফ (রহঃ), তার পিতা, আবূ ইসহাক (রহঃ), আবদূর রহমান (রহঃ) এর সূত্রে হাদীসখানা বর্ণনা করেন।

( বুখারী সহীহ হাদিস – ১৫৮ ই ফা বা/ ১৫৬ আন্তঃ )

 

পেশাবের অপবিত্রতা থেকে সতর্ক না থাকার কারণে কবরের আজাব –

উসমান (রহঃ) … ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার মদিনা বা মক্কার কোন এক বাগানের কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি এমন দু’ব্যাক্তির আওয়াজ পেলেন, যাদের কবরে আযাব হচ্ছিল। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এদের দু’জনকে আযাব দেওয়া হচ্ছে, অথচ কোন বড় গুনাহের জন্য এদের আযাব দেওয়া হচ্ছে না। তারপর তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, এদের একজন তার পেশাবের নাপাকি থেকে সতর্কতা অবলম্বন করত না। আর একজন চোগলখুরী করত। তারপর তিনি একটি খেজুরের ডাল আনালেন এবং তা ভেঙ্গে দু’খন্ড করে প্রত্যেকের কবরের উপর একখন্ড রাখলেন। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হল, ’ইয়া রাসুলাল্লাহ! এরূপ কেন করলেন?’ তিনি বললেনঃ হয়ত তাদের আযাব কিছুটা লাঘব করা হবে, যতদিন পর্যন্ত এ দু’টি না শুকায়।

( বুখারী সহীহ হাদিস – ২১৬ ই ফা বা )

স্থির পানিতে পেশাব করা –

আবূল ইয়ামান (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন যে, আমরা শেষে আগমনকারী এবং (কিয়ামত দিবসে) অগ্রগামী। এ সনদেই তিনি বলেনঃ তোমাদের কেউ যেন স্থির- যা প্রবাহিত নয় এমন পানিতে কখনো পেশাব না করে। (সম্ভবত) পরে সে আবার তাতে গোসল করবে।

( বুখারী সহীহ হাদিস – ২৩৮ ই ফা বা / ২৩৯ আন্তঃ)

সূচিপত্র (নামাজ শিক্ষা বই)……………

আলহামদুলিল্লাহ
অনুগ্রহ করে বেশি বেশি শেয়ার করুন ……………….

Leave a Reply