Skip to content

জামাআত ও ইমামতির ইসলামের বিধান I Jamat and Imamati

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

Table of Contents

জামাআত ও ইমামতির ইসলামের বিধান ?

মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন – اِقۡرَاۡ بِاسۡمِ رَبِّکَ الَّذِیۡ خَلَقَপড় তোমার রবের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন।

জামাআত ও ইমামতি-

আস্সালামু আলাইকুম, পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরয হয় ইসরা’ ও মি’রাজের রাত্রে। ঠিক তার পরের দিন যোহরের সময় জিবরীল (আঃ) প্রিয় নবী (ﷺ)-কে নিয়ে জামাআত সহকারে প্রথম নামায পড়েন। অনুরুপভাবে মুসলিমরাও মহানবী (ﷺ)-এর পশ্চাতে দাঁড়িয়ে তাঁর অনুসরণ করেন। আর জিবরীলের ইমামতির পর মহানবী (ﷺ) মক্কা মুকার্রামায় কোন কোন সাহাবীকে নিয়ে কখনো কখনো জামাআত সহকারে নামায আদায় করেছেন। কিন্তু মদ্বীনায় হিজরত করার পর জামাআত একটি বাঞ্জিত নিয়ম ও ইসলামী প্রতীকরুপে গুরুত্ব পেল। আর সকল নামাযীকে জামাআতবদ্ধ ও জমায়েত করার জন্য বিধিবদ্ধ হল আযান।

 

মহান আল্লাহতায়ালা বলেন –

اُتۡلُ مَاۤ اُوۡحِیَ اِلَیۡکَ مِنَ الۡکِتٰبِ وَ اَقِمِ الصَّلٰوۃَ ؕ اِنَّ الصَّلٰوۃَ تَنۡهٰی عَنِ الۡفَحۡشَآءِ وَ الۡمُنۡکَرِ ؕ وَ لَذِکۡرُ اللّٰهِ اَکۡبَرُ ؕ وَ اللّٰهُ یَعۡلَمُ مَا تَصۡنَعُوۡنَ

অর্থ – তোমার প্রতি যে কিতাব ওহী করা হয়েছে, তা থেকে তিলাওয়াত কর এবং সালাত কায়েম কর। নিশ্চয় সালাত অশ্লীল ও মন্দকাজ থেকে বিরত রাখে। আর আল্লাহর স্মরণই তো সর্বশ্রেষ্ঠ। আল্লাহ জানেন যা তোমরা কর।

( সূরা আন-কাবুত আয়াত- ৪৫)

 

মহান আল্লাহতায়ালা অন্য আরেকটি আয়াতে বলেন –

فَاِذَا قَضَیۡتُمُ الصَّلٰوۃَ فَاذۡکُرُوا اللّٰهَ قِیٰمًا وَّ قُعُوۡدًا وَّ عَلٰی جُنُوۡبِکُمۡ ۚ فَاِذَا اطۡمَاۡنَنۡتُمۡ فَاَقِیۡمُوا الصَّلٰوۃَ ۚ اِنَّ الصَّلٰوۃَ کَانَتۡ عَلَی الۡمُؤۡمِنِیۡنَ کِتٰبًا مَّوۡقُوۡتًا

অর্থ – অতঃপর যখন তোমরা সালাত পূর্ণ করবে তখন দাঁড়ানো, বসা ও শোয়া অবস্থায় আল্লাহর স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে। নিশ্চয় সালাত মুমিনদের উপর নির্দিষ্ট সময়ে ফরয।

( সূরা আন-নিসা আয়াত- ১০৩ )

 

মহান আল্লাহতায়ালা অন্য আরেকটি আয়াতে বলেন –

لَقَدۡ کَانَ لَکُمۡ فِیۡ رَسُوۡلِ اللّٰهِ اُسۡوَۃٌ حَسَنَۃٌ لِّمَنۡ کَانَ یَرۡجُوا اللّٰهَ وَ الۡیَوۡمَ الۡاٰخِرَ وَ ذَکَرَ اللّٰهَ کَثِیۡرًا

অর্থ – অবশ্যই তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ তাদের জন্য যারা আল্লাহ ও পরকাল প্রত্যাশা করে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে।

( সূরা আল-আহযাব আয়াত- ২১ )

মহান আল্লাহতায়ালা অন্য আরেকটি আয়াতে বলেন –

وَ اَقِیۡمُوا الصَّلٰوۃَ وَ اٰتُوا الزَّکٰوۃَ وَ اَطِیۡعُوا الرَّسُوۡلَ لَعَلَّکُمۡ تُرۡحَمُوۡنَ

অর্থ – আর তোমরা সালাত কায়েম কর, যাকাত দাও এবং রাসূলের আনুগত্য কর, যাতে তোমরা রহমতপ্রাপ্ত হতে পার।

( সূরা আন-নূর আয়াত – ৫৬ )

মহান আল্লাহতায়ালা অন্য আরেকটি আয়াতে বলেন –

وَ اِذَا کُنۡتَ فِیۡهِمۡ فَاَقَمۡتَ لَهُمُ الصَّلٰوۃَ فَلۡتَقُمۡ طَآئِفَۃٌ مِّنۡهُمۡ مَّعَکَ وَ لۡیَاۡخُذُوۡۤا اَسۡلِحَتَهُمۡ ۟ فَاِذَا سَجَدُوۡا فَلۡیَکُوۡنُوۡا مِنۡ وَّرَآئِکُمۡ ۪ وَ لۡتَاۡتِ طَآئِفَۃٌ اُخۡرٰی لَمۡ یُصَلُّوۡا فَلۡیُصَلُّوۡا مَعَکَ وَ لۡیَاۡخُذُوۡا حِذۡرَهُمۡ وَ اَسۡلِحَتَهُمۡ ۚ وَدَّ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا لَوۡ تَغۡفُلُوۡنَ عَنۡ اَسۡلِحَتِکُمۡ وَ اَمۡتِعَتِکُمۡ فَیَمِیۡلُوۡنَ عَلَیۡکُمۡ مَّیۡلَۃً وَّاحِدَۃً ؕ وَ لَا جُنَاحَ عَلَیۡکُمۡ اِنۡ کَانَ بِکُمۡ اَذًی مِّنۡ مَّطَرٍ اَوۡ کُنۡتُمۡ مَّرۡضٰۤی اَنۡ تَضَعُوۡۤا اَسۡلِحَتَکُمۡ ۚ وَ خُذُوۡا حِذۡرَکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰهَ اَعَدَّ لِلۡکٰفِرِیۡنَ عَذَابًا مُّهِیۡنًا

অর্থ – আর যখন তুমি তাদের (সৈন্য বা মুমিন) মধ্যে থাকবে। অতঃপর তাদের জন্য সালাত কায়েম করবে, তখন যেন তাদের মধ্য থেকে একদল তোমার সাথে দাঁড়ায় এবং তারা তাদের অস্ত্র ধারণ করে। এরপর যখন সিজদা করে ফেলবে, তখন তারা যেন তোমাদের পেছনে অবস্থান নেয়। আর অপর একটি দল যারা সালাত আদায় করেনি তারা যেন তোমার সাথে এসে সালাত আদায় করে এবং তারা যেন তাদের সতর্কতা অবলম্বন ও অস্ত্র ধারণ করে। কাফিররা কামনা করে যদি তোমরা তোমাদের অস্ত্র-শস্ত্র ও আসবাব-পত্র সম্বন্ধে অসতর্ক হও তাহলে তারা তোমাদের উপর একসাথে ঝাঁপিয়ে পড়বে। আর যদি বৃষ্টির কারণে তোমাদের কোন কষ্ট হয় অথবা তোমরা অসুস্থ হও তাহলে অস্ত্র রেখেদেয়াতে তোমাদের কোন দোষ নেই। আর তোমরা তোমাদের সতর্কতা অবলম্বন করবে। নিশ্চয় আল্লাহ কাফিরদের জন্য প্রস্তুত করেছেন লাঞ্ছনাদায়ক আযাব।
আল-বায়ান

( সূরা আন-নিসা আয়াত -১০২ )

নোটঃ যুদ্ধের মতো কঠিন পরিস্থিতিতেও আল্লাহ জামাতের সঙ্গে নামাজ পড়ার তাগিদ দিয়েছেন।

 

মহান আল্লাহতায়ালা অন্য আরেকটি আয়াতে বলেন –

وَ اَقِیۡمُوا الصَّلٰوۃَ وَ اٰتُوا الزَّکٰوۃَ وَ ارۡکَعُوۡا مَعَ الرّٰکِعِیۡنَ

অর্থ –  আর তোমরা সালাত কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর এবং রুকূকারীদের সাথে রুকূ কর।

( সূরা বাকারা আয়াত – ৪৩)

 

এর মর্ম এই যে, সালাত আদায়কারীগণের সাথে সালাত আদায় কর। অর্থাৎ ” রুকূ’কারীদের সাথে ”  শব্দদ্বয়ের দ্বারা জামা’আতের সাথে সালাত আদায়ের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

তাফসীরে জাকারিয়া

নামায কায়েম করা বলতে কী বুঝনো হয়েছে –

তাহলে নামায কায়েম করা বলতে কী বুঝনো হয়েছে তা উপরের আয়াত গুলো দ্বারাই  বুঝা যায়।

কায়েম সম্পর্কিত নিন্মে আরো কিছু পয়েন্ট উল্লেখ করা হলো  –

১। ওয়াক্তমত নামায পড়া।

২। জামাতের সাথে নামায পড়া।

৩। আল্লাহর ভয় আখেরাতের ভয় নিয়ে নামায পড়া।

৪। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাতের প্রতি খেয়াল করে নামায পড়া।

 

কায়েম শব্দের অর্থ কি : কায়েম অর্থ হচ্ছে – ” প্রতিষ্ঠিত “

প্রতিষ্ঠিত বলতে কি বুঝায় : প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে একটি ” গুনগত ” ভালোমানকে বুঝায়।

প্রতিষ্ঠিত হওয়া বলতে আসলে যা বোঝায় তা হলো- সমাজে, এলাকায়, দেশে অথবা পৃথিবীতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যশ, খ্যতি, সুনাম, প্রভাব-প্রতিপত্তির প্রভৃতি কে বুঝায়। এখানে কোন অবস্থাতেই অসততার কোন স্থান থাকবেনা।

উপরোক্ত বিষয়গুলো নামায কায়েমের আয়াত সম্বলিত নির্দেশ থেকে প্রতিভাত হয়।
সুতরাং বুঝা গেল, কুরআনে কারীমে নামায কায়েম করার অর্থ হল, উপরোক্ত বিষয়গুলোর দিকে লক্ষ্য রেখে নামায আদায় করা।

 

হাদিসের বর্ণনায় –

জামায়াতে নামাজ আদায় করার তাগিদ –

ক। কুতায়বা …. ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি মুআযযিনের আযান শুনে বিনা কারণে মসজিদে উপস্থিত হয়ে জামাআতে নামায আদায় করবে না তার অনত্র আদায়কৃত নামায আল্লাহর নিকটে কবুল হবে না (অর্থাৎ তার নামাযকে পরিপূর্ণ নামায হিসেবে গণ্য করা হবে না)। সাহাবীরা ওজর সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যদি কেউ ভয়ভীতি ও অসুস্থতার কারণে জামাআতে হাযির হতে অক্ষম হয় তবে তার জন্য বাড়ীতে নামায পড়া দুষণীয় নয়।

( আবু দাঊদ সহীহ হাদিস – ৫৫১ ই ফা বা , ইবনে মাজাহ: ৭৯৩)

 

খ।  উমর ইবনু হাফস (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুনাফিকদের উপস ফজর ও ইশার সালাতের চাইতে অধিক ভারী সালাত (নামায/নামাজ) আর নেই। এ দু’ সালাতের কি ফযীলত, তা যদি তারা জানত, তা হলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তারা (জামা’আতে) উপস্থিত হতো।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আমি সংকল্প করছিলাম যে, মুয়ায্‌যিন কে ইকামত দিতে বলি এবং কাউকে লোকদের ইমামতি করতে বলি, আর আমি নিজে একটি আগুনের মশাল নিয়ে গিয়ে এরপরও যারা সালাতে আসেনি, তাদের উপর আগুন ধরিয়ে দেই।

( বুখারী সহীহ হাদিস – ৬২৪ ই ফা বা/ ৬৫৭ আন্তঃ, মুসলিম সহীহ হাদিস- ১৩৬৭ হাদিস একাডেমি/৬৫১ আন্তঃ, ইবনে মাজাহ্‌ )

 

গ। হারূন ইবনু যায়েদ ….. ইবনু উম্মে মাকতুম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ্ মদ্বীনা শহরে অনেক বিষাক্ত ও হিংস্র প্রাণী আছে যার দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার আশংকা আছে এমতাবস্থায় জামাআতে হাযির হওয়ার ব্যাপারে আমার করণীয় কি? তিনি বলেনঃ তুমি কি আযানের হাইয়া আলাস-সালাহ্ ও হাইয়া আলাল-ফালাহ্ শুনতে পাও? আমি বলি হ্যাঁ। তিনি বলেনঃ তুমি তার জবাব দাও (জামাআতে হাযির হও)।

( আবু দাঊদ সহীহ হাদিস- ৫৫৩ ই ফা বা, নাসাঈ, ইবনু মাজাহ )

নোটঃ অবশ্যই জেনে রাখা ভাল যে, যে ব্যক্তি জামাত ছাড়া নামাজ পড়ে, তার নামায শুদ্ধ হয়ে যায়। কিন্তু জামাআত ত্যাগ করার জন্য সে (কাবীরা) গুনাহগার হয়। তবে তার ঐ নামায কবুল হওয়া ও না হওয়ার ব্যাপার তো আল্লাহর কাছে। ( মারা: ১৭২পৃ: )

সালাতে ইমামকে অনুসরণ করা –

ক।  আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি এখন ভারী হয়ে গেছি। অতএব আমি যখন রুকূ করি, তোমরাও তখন রুকূ করো এবং আমি যখন মাথা উঠাই, তোমরাও তখন মাথা উঠাও। আমি যখন সিজদা্ করি, তোমরাও তখন সিজদা্ করো। আমি যেন কোন ব্যাক্তিকে আমার আগে রুকূ ও সাজদায় যেতে না দেখি।

( ইবনে মাজাহ সহীহ হাদিস – ৯৬২, তাখরীজ আলবানী হাদিস- ১৭২৫)

খ।  আনাস ইবনু মালিক আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘোড়ায় চড়েন। ফলে তাঁর ডান পাঁজরে আঁচড় লাগে। আনাস (রাঃ) বলেন, এ সময় কোন এক সালাত (নামায) আমাদের নিয়ে তিনি বসে আদায় করলেন। আমরাও তাঁর পেছনে বসে সালাত আদায় করি। সালাম ফেরানোর পর তিনি বললেনঃ ইমাম নির্ধারণ করা হয় তাঁকে অনুসরণ করার জন্যই। তাই তিনি যখন দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করেন তখন তোমরাও দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করবে। আর তিনি যখন রুকু করেন তখন তোমরাও রুকু করবে। তিনি যখন সিজদা করেন তখন তোমরাও সিজদা করবে। তিনি যখন سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ‏ বলবে তখন তোমরা رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ   বলবে।

( বুখারী সহীহ হাদিস – ৬৯৬,৬৯৭,৬৯৮ ই ফা বা /৭৩২,৭৩৩,৭৩৪ আন্তঃ, আবু দাঊদ সহীহ হাদিস – ৬২০ ই ফা বা )

 

গ। হাফস ইবনু উমার …. আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ইমাম সিজদায় থাকা অবস্থায় তোমাদের কেউ মস্তক উত্তোলন করতে কেন ভয় করে না যে, যদি আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন তার মাথাকে গাধার মাথায় অথবা তার অবয়বকে গাধার আকৃতিতে রপান্তরিত করে দেন।

( আবু দাঊদ সহীহ হাদিস – ৬২৩ ই ফা বা , বুখারী, মূসলিম, তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, নাসাঈ )

নামাজের অধ্যায়ের সূচিপত্র / Table of Contents of Prayers …………..

ইমাম ও মুক্তাদির মধ্যে দেয়াল বা সুতরা থাকলে জামাত হবে –

হাসান (রহঃ) বলেন, তোমার ও ইমামের মধ্যে নহর থাকলেও ইকতিদা করতে অসুবিধা নেই। আবু মিজলায (রহঃ) বলেন, যদি ইমামের তাকবীর শোনা যায় তাহলে ইমাম ও মুকতাদির মধ্যে রাস্তা বাঁ দেয়াল থাকলেও ইকতিদা করা যায় …………….।

( বুখারী সহীহ হাদিস – ৬৯৩ ই ফা বা /৭২৯ আন্তঃ )

যদি কেউ ইমামের বাম পাশে দাঁড়ায় এবং ইমাম তাকে ডান পাশে নিয়ে আসেন, তবে কারো সালাত নষ্ট হয় না-

 ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আমার খালা মায়মুনা (রাঃ) এর ঘরে ঘুমালাম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে রাতে তাঁর কাছে ছিলেন। তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উযূ (ওজু/অজু/অযু) করলেন। তারপর সালাতে দাঁড়ালেন। আমিও তাঁর বামপাশে দাঁড়ালাম। তিনি আমাকে ধরে তাঁর ডানপাশে নিয়ে আসলেন। আর তিনি তের রাকআত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলেন। তারপর তিনি ঘুমিয়ে পড়লেন, এমনকি তাঁর নাক ডাকতে শুরু করল। এবং তিনি যখন ঘুমাতেন তাঁর নাক ডাকত। তারপর তাঁর কাছে মুয়ায্‌যিন এলেন, তিনি বেরিয়ে গিয়ে ফজরের সালাত আদায় করলেন এবং নতুন উযূ করেননি। আমর (রহঃ) বলেন, এ হাদিস আমি বুকাইর (রহঃ)-কে শোনালে তিনি বলেন, কুরাইব (রহঃ)-ও এ হাদীস আমার কাছে বর্ণনা করেছেন।

( বুখারী সহীহ হাদিস – ৬৬৪ ই ফা বা /৬৯৮ আন্তঃ )

 

ইমামের যদি নামাযের শেষ রাকাতের মাথা উঠানোর পূর্বে উযু নষ্ট হলে –

আহমদ ইবনু ইউনুস ….. আবদুল্লাহ্ ইবনু আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেনঃ যখন ইমাম নামাযের শেষ পর্যায়ে তাশাহুদের পরিমাণ সময় বসার পর তার উযূ (ওজু/অজু/অযু) নষ্ট হবে। তিনি কোন কথা (সালাম) বলার পূর্বে– এমতাবস্থায় নামায আদায় হয়ে যাবে এবং মোক্তাদীদের নামাযও পূর্ণ হয়ে যাবে- যারা ইমামের সাথে পুরা নামায পেয়েছে।

( আবু দাঊদ যঈফ হাদিস – ৬১৭ ই ফা বা , তিরমিযী )

ইমাম সালাত দীর্ঘায়িত করলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা-

আবু উসাইদ (র.) তাঁর ছেলেকে বলেছিলেন, বেটা! তুমি আমাদের সালাত দীর্ঘায়িত করে ফেলেছ। মুহাম্মদ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) … আবূ মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক সাহাবী এসে বলল ইয়া রাসূলাল্লাহ! অমুক ব্যাক্তির জন্য আমি ফজরের সালাতে অনুপস্থিত থাকি। কেননা তিনি আমাদের সালাত (নামায/নামাজ) খুব দীর্ঘ করেন। এ শুনে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাগান্বিত হলেন। আবূ মাসউদ (রাঃ) বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নসীহত করতে গিয়ে সেদিনের ন্যায় এত বেশি রাগান্বিত আর কোন দিন দেখিনি। তারপর তিনি বলেনঃ হে লোকেরা! তোমাদের মাঝে বিতৃষ্ণা সৃষ্টিকারী রয়েছে। তোমাদের মধ্যে যে কেউ লোকদের ইমামতি করে, সে যেন সংক্ষেপ করে। কেননা, তাঁদের মধ্যে দুর্বল, বৃদ্ধ ও হাজতমন্দ লোকও থাকে।

( বুখারী সহীহ হাদিস -৬৬৯ ই ফা বা/৭০৪ আন্তঃ)

যদি ইমাম ইমামতির নিয়ত না করেন এবং পরে কিছু লোক এসে শামিল হয় এবং তিনি তাদের ইমামতি করেন –

মুসাদ্দাদ (রহঃ) … ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার আমি আমার খালার [মায়মুনা (রাঃ)] এর কাছে রাত যাপন করলাম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতের সালাতে দাঁড়ালেন। আমিও তাঁর সঙ্গে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতে দাঁড়ালাম। আমি তাঁর বামপাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম, তিনি আমার মাথা ধরে তাঁর ডানপাশে দাঁড় করালেন।

( বুখারী সহীহ হাদিস – ৬৬৫ ই ফা বা/৬৯৯ আন্তঃ)

মসজিদে যাওয়ার জন্য স্বামীর নিকট মহিলার অনুমতি চাওয়া-

মূসা’দ্দাদ (রহঃ) … আবদুল্লাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তোমাদের কারো স্ত্রী যদি (সালাত (নামায/নামাজ)-এর জন্য মসজিদে যাওয়ার) অনুমতি চায় তা হলে স্বামী যেন তাকে বাঁধা না দেয়।

( বুখারী সহীহ হাদিস নং – ৮৩১ ই ফা বা / ৮৭৩ আন্তঃ )

পুরুষগণের পিছনে মহিলাগণের সলাত-

ইয়াহইয়া ইবনু কাযাআ’ (রহঃ) … উম্মে সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাম ফিরাতেন, তখন মহিলাগন তাঁর সালাম শেষ করার পর উঠে যেতেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়ানোর আগে নিজ জায়গায় কিছুক্ষন অবস্থান করতেন। রাবী যুহরী (রহঃ) বলেন, আমাদের মনে হয়, তা এ জন্য যে, অবশ্য আল্লাহ ভাল জানেন, যাতে মহিলাগণ চলে যেতে পারেন, পুরুষগন তাদের যাওয়ার আগেই।

( বুখারী সহীহ হাদিস নং – ৮২৮ ই ফা বা / ৮৭০-৮৭৫ আন্তঃ )

 

রাতে ও অন্ধকারে মহিলাগণের মসজিদের উদ্দেশ্যে বের হওয়া-

আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) … হিন্দ বিনত হারিস (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণী সালামা (রাঃ) তাঁকে জানিয়েছেন, মহিলাগন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সময় ফরয সালাতের সালাম ফিরানোর সাথে সাথে উঠে যেতেন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সঙ্গে সালাত (নামায/নামাজ) আদায়কারী পুরুষগণ, আল্লাহ যতক্ষণ ইচ্ছা করেন, (তথায়) অবস্থান করতেন। তারপর যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উঠতেন, তখন পুরুষগণও উঠে যেতেন।

( বুখারী সহীহ হাদিস – ৮২৪ ই ফা বা / ৮৬৬ আন্তঃ)

দুই ব্যাক্তি একত্রে মহিলাসহ জামাতে নামায আদায়ে কিভাবে দাঁড়াবে-

হাফস ইবনু উমার …. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর ও একজন মহিলার ইমামতি করেন। তিনি তাকে তাঁর পাশে এবং ঐ মহিলাকে আনাসের পেছনে দাঁড় করান।

( আবু দাঊদ সহীহ হাদিস – ৬০৯ ই ফা বা , মুসলিম, নাসাঈ, ইবনু মাজাহ )

দুই ব্যক্তি হলেই জামাত সালাত আদায় করা –

মূসা’দ্দাদ (রহঃ) … মালিক ইবনু হুওয়াইরিস (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন সালাতের সময় হয়, তখন তোমাদের দু’জনের একজন আযান দিবে ও ইকামত বলবে। তারপর তোমাদের দু’জনের মধ্যে যে অধিক বয়স্ক সে ইমামতি করবে।

( বুখারী সহীহ হাদিস – ৬২৫ ই ফা বা/ ৬৫৮ আন্তঃ )

যখন মুকতাদীর সংখ্যা মহিলাসহ তিনজন হবে তখন তারা কিরূপে দাঁড়াব-

আল্-কানবী ….. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা তাঁর দাদী মুলায়কা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্য খাদ্য খাওয়ার জন্য দাওয়াত করেন। তিনি তা খাওয়ার পর বলেনঃ তোমরা এসো! আমি তোমাদের নিয়ে নামায পড়ব। আনাস (রাঃ) বলেন, তখন আমি আমাদের অনেক দিনের ব্যবহারে কালে দাগযুক্ত একটি চাটাইয়ের দিকে উঠে যাই এবং পানি দিয়ে তা পরিষ্কার করি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার উপর দাঁড়ান। আমি ও আমার ছোট ভাই তাঁর পেছনে দন্ডায়মান হই এবং বৃদ্ধা মহিলা (মুলায়কা) আমাদের পিছনে দাঁড়ান। তিনি আমাদেরকে সঙ্গে নিয়ে দুই রাকাত নামায আদায়ের পর প্রস্থান করেন।

( আবু দাঊদ সহীহ হাদিস – ৬১২ ই ফা বা , বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, নাসাঈ )

অসুস্থ্য থাকা স্বত্বেও জামাতে নামায আদায় করা উচিত –

ইব্রাহীম ইবনু মূসা (রহঃ) … আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন একেবারে কাতর হয়ে গেলেন এবং তাঁর রোগ বেড়ে গেল, তখন তিনি আমার ঘরে সেবা-শুশ্রূষার জন্য তাঁর অন্যান্য স্ত্রীগণের কাছে সম্মতি চাইলেন। তাঁরা সম্মতি দিলেন। সে সময় দু’জন লোকের কাঁধে ভর দিয়ে (সালাতের জন্য) তিনি বের হলেন, তাঁর দু’পা মাটিতে হেঁচড়িয়ে যাচ্ছিলো। তিনি ছিলেন আব্বাস (রাঃ) ও অপর এক সাহাবীর মাঝখানে। (বর্ণনাকারী) উবায়দুল্লাহ (রহঃ) বলেন, আয়িশা (রাঃ) এর বর্ণিত এ ঘটনা ইবনু আব্বাস (রাঃ) এর নিকট ব্যক্ত করি। তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি জানো, তিনি কে ছিলেন, যার নাম আয়িশা (রাঃ) বলেন নি? আমি বললাম, না। তিনি বললেন, তিনি ছিলেন আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ)।

( বুখারী সহীহ হাদিস – ৬৩২ ই ফা বা/ ৬৬৫ আন্তঃ)

বৃষ্টি বা অন্য কোন সমস্যা থাকলে নিজ ঘরে সালাত আদায় করার অনুমতি –

আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) … নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইবনু উমর (রাঃ) একবার প্রচন্ড শীত ও বাতাসের রাতে সালাতের আযান দিলেন। তারপর ঘোষণা দিলেন, প্রত্যেকে নিজ নিজ আবাসে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করে নাও, এরপর তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রচণ্ড শীত ও বৃষ্টির রাত হলে মুয়াযযিনকে এ কথা বলার নির্দেশ দিতেন – প্রত্যেকে নিজ নিজ আবাসে সালাত আদায় করে নাও।

( বুখারী সহীহ হাদিস – ৬৩৩, ৬৩৪ ই ফা বা/ ৬৬৬, ৬৬৭ আন্তঃ)

খাবার উপস্থিত, এসময় সালাতের ইকামত হল করণীয় –

ইবন উমর (রাঃ) সালাতের আগে রাতের খাবার খেয়ে নিতেন। আবু দারদা (রাঃ) বলেন, মানুষের জ্ঞানের পরিচয় হল, প্রথমে নিজের প্রয়োজন মিটিয়ে নেওয়া, যাতে নিশ্চিতভাবে সালাতে মনযোগী হতে পারে।

। মুসাদ্দাদ (রহঃ) … আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন রাতের খাবার উপস্থিত করা হয়, আর সে সময় সালাত (নামায/নামাজ)-এর ইকামত হয়ে যায়, তখন প্রথমে খাবার খেয়ে নাও।

( বুখারী সহীহ হাদিস- ৬৩৮, ৬৩৯, ৬৪০ ই ফা বা / ৬৭১, ৬৭২,৬৭৩ আন্তঃ)

 

জামাতে নামাজ পড়ার ফজিলত –

ক। একা নামাজ পড়ার চেয়ে জামাতে নামাজ আদায় করার গুরুত্ব অনেক বেশি। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, জামাতে নামাজ আদায় করা একাকী নামাজ আদায় করার চেয়ে ২৭ গুণ বেশি সওয়াবের।

( বুখারি সহীহ হাদিস- ৬১৭ ই ফা বা /৬৪৫ আন্তঃ )

খ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আজান দেওয়া এবং প্রথম কাতারে দাঁড়ানোর মধ্যে যে কী মর্যাদা আছে, তা যদি মানুষ জানতে পারত, তাহলে তা পাওয়ার জন্য তারা প্রয়োজনবোধে লটারি করত। দুপুরের নামাজের যে মর্যাদা আছে, তা যদি তারা জানতে পারত, তাহলে তারা এটা লাভ করার জন্য প্রতিযোগিতায় লেগে যেত। এশা ও ফজরের নামাজের মধ্যে যে (তাদের জন্য) কী মর্যাদা রয়েছে, তা যদি জানতে পারত, তাহলে তারা হামাগুড়ি দিয়ে হলেও এসে নামাজে উপস্থিত হতো।’

( মুসলিম সহীহ হাদিস: ৮৬৭ হাদিস একাডেমি/৮৩৭ আন্তঃ)

গ। মুহাম্মাদ ইবনু ঈসা …… আবূ সাঈদ আল্-খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ জামা’আতের সাথে এক ওয়াক্তের নামায একাকী পঁচিশ ওয়াক্ত নামায (আদায়ের) সমতুল্য। যখন কোন ব্যক্তি মাঠে বা বন-ভূমিতে সঠিকভাবে রুকু-সিজদা সহকারে নামায আদায় করবে, তখন সে পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামাযের সমান ছওয়াব পাবে।

( আবু দাউদ সহীহ হাদিস – ৫৬০ ই ফা বা )

মসজিদে জামা’আতে সালাত আদায়ের ফযীলত –

ক।  মূসা ইবনু ইসমাইল (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন ব্যাক্তির জামা’আতের সাথে সালাতের সাওয়াব, তাঁর নিজের ঘরে বাজারে আদায়কৃত সালাতের সাওয়াব দ্বিগুণ করে ২৫ গুন বাড়িয়ে দেয়া হয়। এর কারণে এই যে, সে যখন উত্তমরূপে উযূ (ওজু/অজু/অযু) করল, তারপর একমাত্র সালাতের উদ্দেশ্যে মসজিদে রওয়ানা করল তখন তাঁর প্রতি কদমের বিনিময়ে একটি মর্তবা বৃদ্ধি করা হয় এবং একটি গুনাহ মাফ করা হয়। সালাত (নামায/নামাজ) আদায়ের পর সে যতক্ষণ নিজ সালাতের স্থানে থাকে, ফিরিশতাগণ তার জন্য এ বলে দু’আ করতে থাকেন- “হে আল্লাহ! আপনি তার উপর রহমত বর্ষণ করুণ এবং তার প্রতি অনুগ্রহ করুণ। “আর তোমাদের কেউ যতক্ষণ সালাতের অপেক্ষায় থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত সে সালাতরত বলে গণ্য হয়।

( বুখারী সহীহ হাদিস – ৬১৮ ই ফা বা/ ৬৪৭ আন্তঃ)

 

নামাজের অধ্যায়ের সূচিপত্র / Table of Contents of Prayers …………..

Leave a Reply